বিকেলের বাতাসে বিষাদের খুশবু পেয়ে
পানসে মন আরো পানসে হয়ে ওঠে।
এই গোটা অপরিকল্পিত কর্মসৃজনের সার্থকতা খুঁজে পেতে,
তার পক্ষে সাফাই গাইতে খুঁজি দু'মুঠো যুক্তি।
নাহ, কোনো যুক্তি আসে না,
কিছু আসবেও না,
তাতে কিছু এসেও যাবে না।
অথচ স্বপ্ন ছিল,
পাঠ বাড়াব,
সাথে করে বাড়াব আরো কিছু বন্ধুপাঠক।
খোলা আকাশের নিচে কোনো উদ্যানের বেঞ্চে
কিংবা কোনো টং-এর দোকানের বসে
আবৃত্তি করব নিজের কবিতা,
সাথে করব আয়োজন গল্পপাঠের,
আর সাহিত্যিক পূর্বপুরুষের রচনা নিয়ে করব
আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক।
মানিকের লেখা কি একপেশে?
বিভূতি কি গ্রামের মাঝেই ছিলেন সীমাবদ্ধ?
বঙ্কিম কি সাম্প্রদায়িক?
ছফা কি স্পষ্টবাদী?
কিংবা হুমায়ূন কি বাজারী লেখক?
এসব নিয়ে চলবে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির তর্ক;
এমনটাই তো স্বপ্ন ছিল।
তবে তা তো হলো না,
হবেই বা কী করে বলো!
যাদের ভেবেছিলাম সঙ্গী,
যাদের ভেবেছিলাম সাহিত্যভুক,
তারা হয়ে আছে আবদ্ধ ওই মুখবইয়েই।
তাদের মাঝে নেই সাহিত্যমন,
নেই সাহিত্যপাঠের আকুতি,
নেই আলোচনা করবার মত উর্বর মগজ।
আছে কী তাহলে?
আছে শুধু কৈশোর পেরোনো ফর্সা যুবতীদের মুগ্ধ করার
তাদের সাথে আহ্লাদে মিশে যাওয়ার
এবং তাদের সাথে তাল মিলিয়ে রসিকতা করার
এক গা-জ্বালা ধরা প্রবণতা।
তাদের কাব্য শুধু সীমাবদ্ধ সেই না-পাওয়া প্রেয়সীর রূপ বিচারেই।
জগতে যেন আর কোনো বিষয় অবশিষ্টই নেই, তাই তো?
বিকেলটাই তখন পানসে হয়ে যায়,
তাই হাতে করে ইটের মত ভারী কাব্যসমগ্র নিয়ে
পাড়ি জমাই সিআরবিতে,
যেখানে সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো আছে,
আরো আছে নানান জাতের গাছপালা।
শুধু আনাচেকানাচে যদি না থাকত সেই পুরুষ-নারী,
যে পুরুষ তার কামনার হাত রেখেছে
পাশে বসা প্রেয়সীরূপী নারীর বুকে,
কাপড়ের উপর দিয়েই,
তাহলে পরিবেশটা হত আরো অনেক নির্মল।
তবু মন্দের ভালো,
একবার শুধু হাতের গদ্যকাব্যের মাঝে ডুবে যেতে পারলে,
বাইরের পৃথিবীর কদর্যতা নজরে আসবেই না।
বিকেলটা এভাবেই মিষ্টি হয়ে ওঠবে,
আর ধীরে ধীরে পশ্চিমের লালিমার সাথে
মাঘের অস্পষ্ট কুয়াশার মাঝে
সেই বিষাদের খুশবু মিলিয়ে যাবে নিমিষেই।

পানসে মন আরো পানসে হয়ে ওঠে।
এই গোটা অপরিকল্পিত কর্মসৃজনের সার্থকতা খুঁজে পেতে,
তার পক্ষে সাফাই গাইতে খুঁজি দু'মুঠো যুক্তি।
নাহ, কোনো যুক্তি আসে না,
কিছু আসবেও না,
তাতে কিছু এসেও যাবে না।
অথচ স্বপ্ন ছিল,
পাঠ বাড়াব,
সাথে করে বাড়াব আরো কিছু বন্ধুপাঠক।
খোলা আকাশের নিচে কোনো উদ্যানের বেঞ্চে
কিংবা কোনো টং-এর দোকানের বসে
আবৃত্তি করব নিজের কবিতা,
সাথে করব আয়োজন গল্পপাঠের,
আর সাহিত্যিক পূর্বপুরুষের রচনা নিয়ে করব
আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক।
মানিকের লেখা কি একপেশে?
বিভূতি কি গ্রামের মাঝেই ছিলেন সীমাবদ্ধ?
বঙ্কিম কি সাম্প্রদায়িক?
ছফা কি স্পষ্টবাদী?
কিংবা হুমায়ূন কি বাজারী লেখক?
এসব নিয়ে চলবে যুক্তি-পাল্টা যুক্তির তর্ক;
এমনটাই তো স্বপ্ন ছিল।
তবে তা তো হলো না,
হবেই বা কী করে বলো!
যাদের ভেবেছিলাম সঙ্গী,
যাদের ভেবেছিলাম সাহিত্যভুক,
তারা হয়ে আছে আবদ্ধ ওই মুখবইয়েই।
তাদের মাঝে নেই সাহিত্যমন,
নেই সাহিত্যপাঠের আকুতি,
নেই আলোচনা করবার মত উর্বর মগজ।
আছে কী তাহলে?
আছে শুধু কৈশোর পেরোনো ফর্সা যুবতীদের মুগ্ধ করার
তাদের সাথে আহ্লাদে মিশে যাওয়ার
এবং তাদের সাথে তাল মিলিয়ে রসিকতা করার
এক গা-জ্বালা ধরা প্রবণতা।
তাদের কাব্য শুধু সীমাবদ্ধ সেই না-পাওয়া প্রেয়সীর রূপ বিচারেই।
জগতে যেন আর কোনো বিষয় অবশিষ্টই নেই, তাই তো?
বিকেলটাই তখন পানসে হয়ে যায়,
তাই হাতে করে ইটের মত ভারী কাব্যসমগ্র নিয়ে
পাড়ি জমাই সিআরবিতে,
যেখানে সবুজ ঘাসের গালিচা বিছানো আছে,
আরো আছে নানান জাতের গাছপালা।
শুধু আনাচেকানাচে যদি না থাকত সেই পুরুষ-নারী,
যে পুরুষ তার কামনার হাত রেখেছে
পাশে বসা প্রেয়সীরূপী নারীর বুকে,
কাপড়ের উপর দিয়েই,
তাহলে পরিবেশটা হত আরো অনেক নির্মল।
তবু মন্দের ভালো,
একবার শুধু হাতের গদ্যকাব্যের মাঝে ডুবে যেতে পারলে,
বাইরের পৃথিবীর কদর্যতা নজরে আসবেই না।
বিকেলটা এভাবেই মিষ্টি হয়ে ওঠবে,
আর ধীরে ধীরে পশ্চিমের লালিমার সাথে
মাঘের অস্পষ্ট কুয়াশার মাঝে
সেই বিষাদের খুশবু মিলিয়ে যাবে নিমিষেই।

Post a Comment