দীর্ঘ পথ পাড়ি দেয়ার সংকল্প নিয়ে
বুকে তৃষ্ণা-খিদে ও মনস্তাপের বোঝা নিয়ে
পা দু'টোকে চাকা বানিয়ে
শহর বেড়ানোর সাধ মেটাই।
ক্লান্ত হই না, হইনি কখনও,
ক্লান্তি বোধহয় আমাকে স্পর্শ করার জন্যে নয়,
ক্লান্তির ক্ষয় হোক, জয় হোক উদ্যমের।
এমনই এক সকালে বিছানায় শুয়ে
স্মৃতিতে আনলাম
অসংখ্য অসংখ্য প্রিয়মুখের ছবি।
চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মত একের পর এক
দৃশ্যের পটগুলো ভেসে ভেসে ওঠছিল।
সেই প্রিয়মুখেরা আজ নেই।
নাহ, পৃথিবীতে আছে,
কিন্তু আমার পৃথিবীতে নেই।
স্নেহ-ভালোবাসার কাঙাল ছিলাম বলেই
বহুদিন তাদের খুঁজে বেড়িয়েছি
পুনরায় এক হবো বলে।
সেই খুঁজে বেড়ানোর অভিযানের মাঝে যে
নিজের মূল্য অনেকটাই লঘু হয়ে আসে,
তাতে যে নিজের অস্তিত্বকেই দেয়া হয় দুর্বল স্বীকৃতি,
তাতে যে লুকিয়ে আছে সেই হারিয়ে যাওয়া তথাকথিত প্রিয়মুখদের প্রতি
লালন করে যাওয়া এক অন্ধ আবেগ।
তারা ছেড়ে যেত না,
ভুলে যেত না,
পথ ঘুরে যেত না,
যদি প্রকৃতই হত তারা প্রিয়জন।
তাদের প্রতি,
আমার একপাক্ষিক ভালোবাসা
টিকেনি একেবারেই।
তাই এখন আফসোস হয়
তাদের পেছনে এতগুলো সময় ব্যয় হয়েছে বলেই।
আমি জানি,
তারা নিজেদের বলয়ে বেশ সুখেই আছে।
একে একে তারা আমাকে বন্দি করেছে
কালো তালিকায়।
তাই ছেলেমানুষি আবেগকে
খুন করে
আমিও শিখেছি
নিজের বলয় তৈরি করতে।
এখন আমারও আছে একটি
নাতিদীর্ঘ বলয়।
তবে তাতে আছে স্নেহ,
ভালোবাসা, মায়া,
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ,
সহযোগিতাপূর্ণ প্রবণতা,
এবং আছে,
এক গভীর টান।
যা সহজে ছিঁড়ে যাবে না একেবারেই।
মানুষের অধিকাংশই
তোমার গুণগুলো রাখবে না মনে।
তারা আঘাত করে
তোমার কোনো ত্রুটির নগ্ন বহিঃপ্রকাশে।
তারা তখন ভান করে
যেন তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছে।
অথচ তারা তোমাকে
আঁকড়ে নেয়নি কখনোই।
এই ভান নিয়েই এগোয় তাদের জীবন,
তারা একে অপরের কবিতা পড়ে
একে অপরের পিঠ চাপড়ে দেয়,
চুলকে দেয়, হাত বুলিয়ে দেয়।
এই একঘেঁয়ে কাজে দেখি না
তাদের কোনোরূপ গাঢ় ক্লান্তি।
তবে আমাকেও ক্লান্তি ছুঁয়ে দেখে না।
আমি দু'টো পায়ের চাকায় দুনিয়া ঘুরি।
আমি সন্ধান করি আমার হৃদয়ের বন্ধুদের।
পেয়েছি, পাচ্ছি, পাব।
হয়ত এর মাঝে পুনরায়
হয়ে যাবে কোনো ভুল।
তবে সেই ভুলকে ভুল স্বীকারে আনব।
প্রথমবারের ভুল
আনব না দ্বিতীয় চেষ্টায়।
তখন কোনো দূরের সুহৃদকে ডেকে হয়ত
সুনীলের মতই বলব,
"আমি কীরকমভাবে বেঁচে আছি, দেখে যা!"
বুকে তৃষ্ণা-খিদে ও মনস্তাপের বোঝা নিয়ে
পা দু'টোকে চাকা বানিয়ে
শহর বেড়ানোর সাধ মেটাই।
ক্লান্ত হই না, হইনি কখনও,
ক্লান্তি বোধহয় আমাকে স্পর্শ করার জন্যে নয়,
ক্লান্তির ক্ষয় হোক, জয় হোক উদ্যমের।
এমনই এক সকালে বিছানায় শুয়ে
স্মৃতিতে আনলাম
অসংখ্য অসংখ্য প্রিয়মুখের ছবি।
চলচ্চিত্রের দৃশ্যের মত একের পর এক
দৃশ্যের পটগুলো ভেসে ভেসে ওঠছিল।
সেই প্রিয়মুখেরা আজ নেই।
নাহ, পৃথিবীতে আছে,
কিন্তু আমার পৃথিবীতে নেই।
স্নেহ-ভালোবাসার কাঙাল ছিলাম বলেই
বহুদিন তাদের খুঁজে বেড়িয়েছি
পুনরায় এক হবো বলে।
সেই খুঁজে বেড়ানোর অভিযানের মাঝে যে
নিজের মূল্য অনেকটাই লঘু হয়ে আসে,
তাতে যে নিজের অস্তিত্বকেই দেয়া হয় দুর্বল স্বীকৃতি,
তাতে যে লুকিয়ে আছে সেই হারিয়ে যাওয়া তথাকথিত প্রিয়মুখদের প্রতি
লালন করে যাওয়া এক অন্ধ আবেগ।
তারা ছেড়ে যেত না,
ভুলে যেত না,
পথ ঘুরে যেত না,
যদি প্রকৃতই হত তারা প্রিয়জন।
তাদের প্রতি,
আমার একপাক্ষিক ভালোবাসা
টিকেনি একেবারেই।
তাই এখন আফসোস হয়
তাদের পেছনে এতগুলো সময় ব্যয় হয়েছে বলেই।
আমি জানি,
তারা নিজেদের বলয়ে বেশ সুখেই আছে।
একে একে তারা আমাকে বন্দি করেছে
কালো তালিকায়।
তাই ছেলেমানুষি আবেগকে
খুন করে
আমিও শিখেছি
নিজের বলয় তৈরি করতে।
এখন আমারও আছে একটি
নাতিদীর্ঘ বলয়।
তবে তাতে আছে স্নেহ,
ভালোবাসা, মায়া,
পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ,
সহযোগিতাপূর্ণ প্রবণতা,
এবং আছে,
এক গভীর টান।
যা সহজে ছিঁড়ে যাবে না একেবারেই।
মানুষের অধিকাংশই
তোমার গুণগুলো রাখবে না মনে।
তারা আঘাত করে
তোমার কোনো ত্রুটির নগ্ন বহিঃপ্রকাশে।
তারা তখন ভান করে
যেন তোমাকে ছেড়ে যাচ্ছে।
অথচ তারা তোমাকে
আঁকড়ে নেয়নি কখনোই।
এই ভান নিয়েই এগোয় তাদের জীবন,
তারা একে অপরের কবিতা পড়ে
একে অপরের পিঠ চাপড়ে দেয়,
চুলকে দেয়, হাত বুলিয়ে দেয়।
এই একঘেঁয়ে কাজে দেখি না
তাদের কোনোরূপ গাঢ় ক্লান্তি।
তবে আমাকেও ক্লান্তি ছুঁয়ে দেখে না।
আমি দু'টো পায়ের চাকায় দুনিয়া ঘুরি।
আমি সন্ধান করি আমার হৃদয়ের বন্ধুদের।
পেয়েছি, পাচ্ছি, পাব।
হয়ত এর মাঝে পুনরায়
হয়ে যাবে কোনো ভুল।
তবে সেই ভুলকে ভুল স্বীকারে আনব।
প্রথমবারের ভুল
আনব না দ্বিতীয় চেষ্টায়।
তখন কোনো দূরের সুহৃদকে ডেকে হয়ত
সুনীলের মতই বলব,
"আমি কীরকমভাবে বেঁচে আছি, দেখে যা!"
Post a Comment