বৃষ্টির এক পশলা পতন,
তাতেই কেটে গেল পরিবেশের তপ্ত গুমোটতা।
তবে কাটেনি মনোজগতের সেই গুমোটভাব,
যা বেশ গম্ভীর, বেশ গাঢ়, বেশ রূঢ়।
চশমাটুকু নাকের উপর যেন দম্ভভরে আছে বসে,
চশমাটুকুর প্লাস পাওয়ার যেন উঠানামা করে প্রতি মাসেই।
বসে পড়া লাগে ডাক্তারের সম্মুখে,
চোখ দু'টোর পাতা উপরে-নিচে টেনে ধরে,
চোখে তিনি প্রবেশ করান টর্চের তীর্যক আলো।
চোখের মণির মাঝেও যে আরেকটি ছোট্ট মণি আছে,
যা আলোর স্পর্শে আরো ছোট হয়ে পড়ে,
সেটিকে তিনি গাঢ়ভাবে করেন পরখ।
তিনি অনেক কিছুই বুঝে নেন সেই মণিটুকু দেখে।
তবে অনেক কিছুই ধরতে পারেন না।
সেই মণির মাঝে কেন বিমর্ষভাব জেঁকে বসলো,
কেন সেটি হয়ে পড়লো বেশ মলিন,
কেন সেটির কারণে চোখদু'টো বেশ দুখীদুখী হয়ে পড়লো,
এসব ডাক্তারবাবুর অলক্ষ্যেই থেকে যায়।
বস্তুবাদে 'কীভাবে'র উত্তর খোঁজা হয়, 'কেন'র নয়।
তিনি খসখস করে প্রেসক্রিপশনে কলমকে ঘষে যান,
লিখে ফেলেন চোখের ঔষধ,
আমি চেয়ে আছি মনের আরোগ্যের আশায়।
তিনি আমাকে জানান, "বাড়াতে হবে তোমার চশমার পাওয়ার।
তা না হলে চোখের শক্তি যাবে কমে।
সিদ্ধান্ত তোমার।"
আমি পকেটে হাত রেখেই অনুভব করি কিছু একটা কমতির,
মুখে হাসি এনে বলি, "আচ্ছা, বেশ, বাড়াবো।"
ওদিকে চাপা পড়ে যায় একটি দীর্ঘশ্বাস।
নীরস ডাক্তার সেদিকে আর আগ্রহ দেখায় না, তাগিদও দেন না।
তিনি চোখের ডাক্তার, মনের নন।
তাতেই কেটে গেল পরিবেশের তপ্ত গুমোটতা।
তবে কাটেনি মনোজগতের সেই গুমোটভাব,
যা বেশ গম্ভীর, বেশ গাঢ়, বেশ রূঢ়।
চশমাটুকু নাকের উপর যেন দম্ভভরে আছে বসে,
চশমাটুকুর প্লাস পাওয়ার যেন উঠানামা করে প্রতি মাসেই।
বসে পড়া লাগে ডাক্তারের সম্মুখে,
চোখ দু'টোর পাতা উপরে-নিচে টেনে ধরে,
চোখে তিনি প্রবেশ করান টর্চের তীর্যক আলো।
চোখের মণির মাঝেও যে আরেকটি ছোট্ট মণি আছে,
যা আলোর স্পর্শে আরো ছোট হয়ে পড়ে,
সেটিকে তিনি গাঢ়ভাবে করেন পরখ।
তিনি অনেক কিছুই বুঝে নেন সেই মণিটুকু দেখে।
তবে অনেক কিছুই ধরতে পারেন না।
সেই মণির মাঝে কেন বিমর্ষভাব জেঁকে বসলো,
কেন সেটি হয়ে পড়লো বেশ মলিন,
কেন সেটির কারণে চোখদু'টো বেশ দুখীদুখী হয়ে পড়লো,
এসব ডাক্তারবাবুর অলক্ষ্যেই থেকে যায়।
বস্তুবাদে 'কীভাবে'র উত্তর খোঁজা হয়, 'কেন'র নয়।
তিনি খসখস করে প্রেসক্রিপশনে কলমকে ঘষে যান,
লিখে ফেলেন চোখের ঔষধ,
আমি চেয়ে আছি মনের আরোগ্যের আশায়।
তিনি আমাকে জানান, "বাড়াতে হবে তোমার চশমার পাওয়ার।
তা না হলে চোখের শক্তি যাবে কমে।
সিদ্ধান্ত তোমার।"
আমি পকেটে হাত রেখেই অনুভব করি কিছু একটা কমতির,
মুখে হাসি এনে বলি, "আচ্ছা, বেশ, বাড়াবো।"
ওদিকে চাপা পড়ে যায় একটি দীর্ঘশ্বাস।
নীরস ডাক্তার সেদিকে আর আগ্রহ দেখায় না, তাগিদও দেন না।
তিনি চোখের ডাক্তার, মনের নন।
Post a Comment