একটি নির্বাক মুহূর্তের নির্বাচন করে যাই পারিপার্শ্বিকতা মেপে।
সিদ্ধান্তের ধাপে ধাপে পা ফেলে যাই। 
দুর্বল পা, দুর্বল তার চিহ্ন, দুর্বল তার সমস্ত চেতনা, দুর্বল তার বেশভূষা।
পাখির ঠোঁটের মত তীক্ষ্ণতা নিয়ে সিদ্ধান্তের ভিত্তি রচনা করেছিলাম।

তীক্ষ্ণতা নেই তাতে, হয়ত ছিলও না কখনও।
আছে আনাড়িপনা, আছে অজস্র অসারতা।
আছে সিদ্ধান্ত না নিতে পারার যন্ত্রণাটুকুও।

যেন আমার উপর কেউ হাত চালিয়ে যাচ্ছে, আমার যেন কিছু করার থেকেও কিছু করার থাকছে না।
না, আমি তাদের দলে নই,
যারা এই পৃথিবীকে স্রষ্টার রঙ্গমঞ্চ বলে,
যারা এই পৃথিবীর মানুষের জীবনপ্রবাহের কথকথাকে পুতুলনাচের ইতিকথা'র চার প্রকোষ্ঠে আবদ্ধ করে নেয় এক দারুণ পরিহাস নিয়ে।

আমি হলাম মানুষ, নই ফেরেশতা।
আমার নিজস্বতা আছে, স্বাধীনতাও আছে।
কারণ, আমার স্রষ্টা আমায় তা দিয়েছেন।
তবে আমার নিকটের মানুষগুলো তা আমায় দেয়নি।

চাপিয়ে দেয়া সিদ্ধান্তের দমবন্ধ প্রকোষ্ঠের মাঝে,
আমাকে না চাইতেও শুয়েবসে থাকা লাগে।
পরনির্ভরশীলতা হতে বাঁচতেই,
এতগুলো সমস্যা নিয়েও হাত পাতছি না কোনো কাগুজে মূল্যপ্রাপ্তির ভিক্ষের আশা নিয়ে।

বয়সের প্রাপ্তির ন্যায় সময়ের প্রাপ্তিটুকুর অপেক্ষায়,
বেরিয়ে পড়বো।
না, দু'চোখ যেদিকে যায়, সেদিকে নয়,
বরং যেদিকে যাওয়া উচিত ছিল সেই বহু বছর আগে থেকেই,
সেদিকেই।

সৃজনের যে ক্ষমতাটুকু আমার স্রষ্টা আমায় দিয়েছেন,
তা সাজিয়ে,
গুছিয়ে,
আবেগ মাখিয়ে,
বাস্তবতার প্রলেপ লাগিয়ে,
কাগজের বা মুঠোফোনের পর্দায়,
পিষে বা স্পর্শে,
আমি প্রকাশ করে যাব আমার অনুভূতি।

তাতেই প্রকাশ পাবে,
আমার বিভিন্ন সময়ের গতি।
হয়ত বছরখানেক বাদেই ঘুরেফিরে চোখে পড়বে এই লেখাটি।

তখন কেমন বাস্তবতায় থাকবো, তা জানা নেই।
তবে পুরোপুরি না হোক, অন্তত কিছুটা হলেও অনুভবে টানতে পারবো,
এই লেখা লেখাকালীন অনুভূতির পাতার প্রতিটি প্রশ্বাস-নিঃশ্বাস, হেঁটে চলা, ভেবে নেয়া, চেয়ে দেখার প্রহরটুকুকে।
মেঘশূন্য, তবে তারাময় আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি,
যা সূর্যোদয়ের ঠিক আগের মুহূর্তে চলমান আছে।

ঠিক আমার এক প্রিয় মানুষের মতই মাথায় ভাবনা আসছে,
"What will I do in future?"
"What will happen to me then?"
হতাশ নই, তবে শঙ্কিত,
আর দশটা ভাবুক ছেলের মতই,
আর দশটা মানুষের মতই,
যারা সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বাধীনতা হারিয়েছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post