ভোরটা আসার একটু আগেই গেলাম ছুটে ছাদে,
রাত্রি জাগার চিহ্ন যত ফুটছে অবসাদে।
এক-পা, দু'পা, চার-পা, ছ'পা, ছাদে অবশেষে,
চোখ ফেলে ওই আকাশটাকে দেখি ভিন্ন বেশে।
তারা, চাঁদ সব জ্বলজ্বলে ওই পশ্চিম আকাশে,
মাটির ধরা ছিল রাঙা চাঁদেরই প্রকাশে।
রাতটুকু পুরো হেঁটেছি ছাদে, তাই তো জানি বেশ,
আকাশ মাঝে তারার, চাঁদের প্রকাশটুকুর রেশ।
এখন দেখছি, ঢেকে গেছে সব, ছোপ ছোপ কালো মেঘে,
তার মাঝে যেন রক্ত আবীর রয়েছে লেগে।
শীতল, শান্ত, স্তব্ধতার ওই পারিপার্শ্বিক ছবি,
জেগেও যেন জেগে ওঠেনি, মড়াঘুমে যেন সবই।
একটি কাকের উড়ে যাওয়া দেখে বসলাম নড়েচড়ে,
দূর আকাশের রবির জাগাটা দেখতে নয়ন ভরে।
পাখির কিচিরমিচির যেন সঙ্গীতসূচনা,
সঙ্গীত, সে তো ভোরের আসার জের ধরে রচনা।
কান পেতে শুনি কলের শব্দ, চোখ মেলে দেখি পথে,
নামাজফেরত চাচা ফিরছেন, আদরের নাতি সাথে।
ওদিকে রেলের পাশের মাঠেতে ফজলুল চাচা নামে,
কাজ করবেন, সারাবেলা, আর ভিজবেন নোনা ঘামে।
টুংটুং করে গুনগুন ধরে, সাইকেলে আনোয়ার,
সদরে গিয়ে সে পত্রিকা বেচে, চলছে তো সংসার।
ওদিকে হোসেন নিজ খামারের পর্দা ওঠালো টেনে,
সব কাজ সে যে মেপে মেপে করে, সময়-ঘণ্টা মেনে।
এদিকে ভোরেই এক বালতি ধোয়া কাপড় নিয়ে,
নিচে ফিরলেন বড়ভাবী, লাল দড়িতে তা ঝুলিয়ে।
পৃথিবীর যত ব্যস্ততা, সব একপাশে সরিয়ে,
আকাশের ওই পূর্বদিকে দৃষ্টিটা ফিরিয়ে,
কী যেন খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম, চিন্তাটা কী নিয়ে,
আশপাশের ওই মানুষগুলো দিল সব ভুলিয়ে।
মনে পড়তেই লক্ষ্যে এলো, আকাশ তো মেঘে ঢাকা,
অবস্থা তার বেশ মন্দ, ছাদে কি উচিত থাকা!
আশা নিয়ে বুকে, ছাউনির নিচে একটু পিছিয়ে এলাম,
একটি শীতল বৃষ্টিফোঁটার স্পর্শটা টের পেলাম।
অমনি চোখের পলকে, দারুণ গতিতে নামলো বারি,
নিজেকে আগেই করেছি আড়াল, শুষ্কতা দরকারী।
ওদিকে চাচার হাত ছেড়ে এক ছুট দিল নাতি তাঁর,
ফজলুল চাচা মাঠ ছেড়ে ঢুকে পড়লো গলি, পাড়ার।
আনোয়ার তার সাইকেলে ব্রেক কষে দিয়ে গেল থেমে,
টিনশেডের ওই টং-এর সামনে দাঁড়িয়ে, এলো নেমে।
হোসেন যেমনি ওঠিয়েছিল টেনে পর্দার কাপড়,
সেগুলো নামিয়ে বৃষ্টির বেগ করছে সে যে ঠাহর।
বড় ভাবী ফের আসলেন ছুটে ছাদের উপরটায়,
ধোয়া বস্ত্র ভরে নিলেন, যেন আবার ভিজে না যায়।
একমনে আমি বৃষ্টি দেখছি, আরেক মনে ক্ষোভ,
বৃষ্টির পানি ধুয়ে দিল এই সূর্য দেখার লোভ।
মনটা গেল বেশ বিষিয়ে, নিঃশ্বাস বেশ ফেলে,
বৃষ্টির পানি ছুঁয়ে নিতে হাত দু'টি দিয়েছি মেলে।
নবধারার ওই ভোরের বর্ষা মনটা করলো সিক্ত,
আমার স্থলে কোনো কবি হলে লম্বা কবিতা লিখত।
আমি কবি নই, মেলাতে পারি না শব্দেরই ছন্দ,
আমার ঘটনা কবিরা লিখলে হতো খুব আনন্দ।
সূর্যোদয়ের দেখা পাব বলে ওঠেছি বাড়ির ছাদে,
বৃষ্টির বেগ কমে গেলে ঘরে ফিরবো খানিক বাদে।
রাত্রি জাগার চিহ্ন যত ফুটছে অবসাদে।
এক-পা, দু'পা, চার-পা, ছ'পা, ছাদে অবশেষে,
চোখ ফেলে ওই আকাশটাকে দেখি ভিন্ন বেশে।
তারা, চাঁদ সব জ্বলজ্বলে ওই পশ্চিম আকাশে,
মাটির ধরা ছিল রাঙা চাঁদেরই প্রকাশে।
রাতটুকু পুরো হেঁটেছি ছাদে, তাই তো জানি বেশ,
আকাশ মাঝে তারার, চাঁদের প্রকাশটুকুর রেশ।
এখন দেখছি, ঢেকে গেছে সব, ছোপ ছোপ কালো মেঘে,
তার মাঝে যেন রক্ত আবীর রয়েছে লেগে।
শীতল, শান্ত, স্তব্ধতার ওই পারিপার্শ্বিক ছবি,
জেগেও যেন জেগে ওঠেনি, মড়াঘুমে যেন সবই।
একটি কাকের উড়ে যাওয়া দেখে বসলাম নড়েচড়ে,
দূর আকাশের রবির জাগাটা দেখতে নয়ন ভরে।
পাখির কিচিরমিচির যেন সঙ্গীতসূচনা,
সঙ্গীত, সে তো ভোরের আসার জের ধরে রচনা।
কান পেতে শুনি কলের শব্দ, চোখ মেলে দেখি পথে,
নামাজফেরত চাচা ফিরছেন, আদরের নাতি সাথে।
ওদিকে রেলের পাশের মাঠেতে ফজলুল চাচা নামে,
কাজ করবেন, সারাবেলা, আর ভিজবেন নোনা ঘামে।
টুংটুং করে গুনগুন ধরে, সাইকেলে আনোয়ার,
সদরে গিয়ে সে পত্রিকা বেচে, চলছে তো সংসার।
ওদিকে হোসেন নিজ খামারের পর্দা ওঠালো টেনে,
সব কাজ সে যে মেপে মেপে করে, সময়-ঘণ্টা মেনে।
এদিকে ভোরেই এক বালতি ধোয়া কাপড় নিয়ে,
নিচে ফিরলেন বড়ভাবী, লাল দড়িতে তা ঝুলিয়ে।
পৃথিবীর যত ব্যস্ততা, সব একপাশে সরিয়ে,
আকাশের ওই পূর্বদিকে দৃষ্টিটা ফিরিয়ে,
কী যেন খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম, চিন্তাটা কী নিয়ে,
আশপাশের ওই মানুষগুলো দিল সব ভুলিয়ে।
মনে পড়তেই লক্ষ্যে এলো, আকাশ তো মেঘে ঢাকা,
অবস্থা তার বেশ মন্দ, ছাদে কি উচিত থাকা!
আশা নিয়ে বুকে, ছাউনির নিচে একটু পিছিয়ে এলাম,
একটি শীতল বৃষ্টিফোঁটার স্পর্শটা টের পেলাম।
অমনি চোখের পলকে, দারুণ গতিতে নামলো বারি,
নিজেকে আগেই করেছি আড়াল, শুষ্কতা দরকারী।
ওদিকে চাচার হাত ছেড়ে এক ছুট দিল নাতি তাঁর,
ফজলুল চাচা মাঠ ছেড়ে ঢুকে পড়লো গলি, পাড়ার।
আনোয়ার তার সাইকেলে ব্রেক কষে দিয়ে গেল থেমে,
টিনশেডের ওই টং-এর সামনে দাঁড়িয়ে, এলো নেমে।
হোসেন যেমনি ওঠিয়েছিল টেনে পর্দার কাপড়,
সেগুলো নামিয়ে বৃষ্টির বেগ করছে সে যে ঠাহর।
বড় ভাবী ফের আসলেন ছুটে ছাদের উপরটায়,
ধোয়া বস্ত্র ভরে নিলেন, যেন আবার ভিজে না যায়।
একমনে আমি বৃষ্টি দেখছি, আরেক মনে ক্ষোভ,
বৃষ্টির পানি ধুয়ে দিল এই সূর্য দেখার লোভ।
মনটা গেল বেশ বিষিয়ে, নিঃশ্বাস বেশ ফেলে,
বৃষ্টির পানি ছুঁয়ে নিতে হাত দু'টি দিয়েছি মেলে।
নবধারার ওই ভোরের বর্ষা মনটা করলো সিক্ত,
আমার স্থলে কোনো কবি হলে লম্বা কবিতা লিখত।
আমি কবি নই, মেলাতে পারি না শব্দেরই ছন্দ,
আমার ঘটনা কবিরা লিখলে হতো খুব আনন্দ।
সূর্যোদয়ের দেখা পাব বলে ওঠেছি বাড়ির ছাদে,
বৃষ্টির বেগ কমে গেলে ঘরে ফিরবো খানিক বাদে।
Post a Comment