একটা পাগল বেজায় উঁচু
করত না তো মাথাটা নিচু।
ধরাকে করত সরা জ্ঞান
রাখত না মুখে কারো সম্মান।
নিজেকে উঁচুদরের ভেবে
আত্মপ্রসাদে যেত সে ডুবে।
ভাবত, সকলে নিচু তার সব
করত কর্কশ কলরব।
ক'জন এসে বুঝালো তাকে
তবে পাগল কি মানটুকু রাখে?
নিজেকে সাধু, পরকে অবুঝ
পর, সে তো কালো, নিজেই সবুজ।
গিললো যত আক্বল আর জ্ঞান
নিজেই নিজেকে করে সম্মান।
বাদবাকি আর কারো মতামত
শুনেও হয় না কভু সহমত।
পাগলেরই ওই 'মধুর' প্রলাপ
ধুইয়ে দেয় যত গম্ভীর আলাপ।
কত লোক এলো, হাতটা বুলাল
কত লোক তাকে ভালোই শুধাল।
পাগল জেনেও শ্রদ্ধার সাথে
তুললো সকলে শৈল্পিক রথে।
পাগল তো বড় শিল্পমনা
সে তো কাউকেই গোনায় ধরে না।
সে লিখে তার আপন কবিতা
মুদ্রিত বইয়ে বেরোয় সবই তা।
প্রচ্ছদ আঁকে গুণধর লোক,
কেনে সেসব বুড়ো কিংবা বালক।
পাগলের সেই প্রতিভার কথা
জানে সকলেই, সব কথকথা।
তবু তার ওই অহংবোধে
ফাটল ধরে না, বাড়ে শুধু ক্রোধে।
তার কাছে শুধু সেই বাদে
সকলেই বোকা, পড়ে সবে খাদে।
তার জগতটা আলাদা, ভিন্ন
সে জগতে সে-ই শুধু ধন্য।
মোদের জগতে সে বেমানান,
সত্যি বলছি, খোলা রেখো কান।
আমরা চুনোপুঁটি
নই তার মত খাঁটি।
তাকে শুধোতে ব্যস্ত থেকে
কেন করবো দিনটা মাটি?

Post a Comment

Previous Post Next Post