বউ আমাকে বলেছে, মরে যেতে। তা না হলে সে-ই আমাকে মেরে ফেলবে। জীবনটা আমাকে রাখতেই দেবে না। বউটা আমার নয়নমণি, ওর কথা তো আর ফেলে দিতে পারব না।

বউটাকে নিজে পছন্দ করেই বিয়ে করেছিলাম। আমার সাথে আরো অনেকেই তাকে পছন্দ করে আমাকে সমর্থন দিয়েছিল। এখনও মনে আছে, যখন বিয়েটা হচ্ছিল, তখন সকলের মনে সে কী আনন্দ! সে কী উত্তেজনা! সবাই যেন স্লোগান দিচ্ছিল আনন্দের আতিশয্যে। আমিও আতিশয্যবর্জিত ছিলাম না। তবে বরের মুখে কি উচ্চকণ্ঠের স্লোগান মানায়? হা হা।

বউটা এসেই যেন আলোয় ভরিয়ে দিল ঘরের প্রতিটি কোণকে। ঘরের দায়িত্ব হাসিমুখে তো নিলই, সাথে প্রতিশ্রুতি দিল, ঘরের সমস্ত দোষত্রুটি সে দূর করে দিতে সচেষ্ট হবে। চেষ্টায় ছিল ঘরের সকলের মন জয় করতে।
গান গাইত বেশ চমৎকার সুরে। সেই গানের মোহে হারিয়ে গিয়ে ভুলে যেতাম দুনিয়ার যত কাজকর্ম। স্বপ্ন দেখাতে সিদ্ধহস্ত ছিল আমার বউটা। আমিও তার চোখেই দেখতে লাগলাম যত রঙিন স্বপ্ন।

তবে ছয় মাস না যেতেই সে কিছু ভুলত্রুটি করতে লাগলো। অবহেলা করতে লাগলো অনেক কাজে। তা আমার চোখে খুব তীব্রভাবেই এসে ঠেকলো। 

তার সামনে বসে তাকে জানালাম বিষয়টি। সে আমার দিকে কিছুটা তীক্ষ্ণ দৃষ্টি ফেলে বললো, "ও নিয়ে তোমায় ভাবতে হবে না। আমি সব ঠিকঠাকই করছি। একজনের উপরেই তো সব দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন তো তোমার খামারের কাজের মত অত সহজ কাজ নয়।"

খোঁচাটা হজম করতে কষ্ট হলেও হজম করে নিলাম। একদিক থেকে বউ তো ঠিকই বলেছে। পুরো ঘরের দায়িত্ব যার কাঁধে, তার তো দু-একটা ভুলত্রুটি বা কোনো ছোটখাটো দায়িত্বের প্রতি বেখেয়াল হয়ে যাওয়ারই কথা।

ছোট ভাইটা বেশ ছোট। এবার সপ্তম শ্রেণিতে ওঠলো মাত্র। তাকে আগে আমিই পড়াতাম। এরপর কাজের চাপে তাকে ঠিকভাবে পড়াতে পারছিলাম না। পরে অবশ্য পাশের কোচিং সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দিয়েছিলাম। তবে ভাইটা আমার এমন দুষ্টু, ঘরে এক শব্দও পড়তে চায় না। 

প্রিয় বউটাকে বললাম, ওকে যেন মাঝেমাঝে একটু পড়ায়। কারণ ঘরের কাজ অতটা ভারীও নয়। তাছাড়া নান্টুর মা'তো প্রতিদিনই আসে কাজে সাহায্য করতে। সে সময় তো বউকে টেলিভিশনের সামনেই বসে থাকতে দেখি। টেলিভিশন দেখতে দোষ নেই, তবে মাঝেমাঝে যেন একটু পড়াটাও দেখিয়ে দেয় ভাইটাকে। আর ছোট ভাইটা আমার বউয়ের বেশ ন্যাওটা। ও যা বলবে, তা-ই সে শুনতে বাধ্য। অনেকটা আমার মতই আর কি। হা হা। 

বউটা আমার রাজি হয়ে গেল। আশ্বাস দিয়ে জানাল, "কোনো দুশ্চিন্তা কোরো না। আমি আছি। ওর পড়াশোনার ভার আমার কাঁধে। আমি ওকে পড়িয়ে পাড়ার সবার সামনে যদি ওকে বিদ্যাসাগর হিসেবে প্রমাণ করতে না পারছি, তবে আমি স্বেচ্ছায় তোমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাব।" 

বউয়ের এমন দৃঢ় সংকল্পে তাকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেতে চেয়েছিলাম। তবে সে আমাকে সেটা করতে দেয়নি। বললো, "এখন এসব কেন অসভ্য! রাতে দেখা যাবে।" আহ, বউটা আমার কত লাজুক আর সময়জ্ঞানী। হা হা।

Wedding Rings, Gold, Marriage, Rings, Ring, Band, Bands

সেদিন রাতে ওকে কাছে পেয়েও আদরটা করতে পারলাম না। সে নাকি অসুস্থ। 
পরেরদিনেও পারলাম না। সে নাকি ক্লান্ত।
এর পরের দু-সপ্তাহেও তাকে একেবারে রাজিই করাতে পারলাম না।

একদিন কপট রাগ করেই বললাম,
"বিয়ের পর তো এখন পর্যন্ত স্পর্শই করতে দাওনি। তোমার সমস্যা কী! আমি কি আরেকটা বিয়ে করে আনবো!?"
সে ঝামটা মেরে বললো, "আমি সারাদিন কাজ করি, আবার তোমার ভাইকেও পড়াই। রাতের বেলাটায় কি একটু ঘুমাতেও দিবে না আমাকে। এত শরীর চাও কেন তোমরা!"

আমি অবাক হয়ে গেলাম। আমি তো শরীর চাইছি না। আমি শুধু তার গুরুত্ব চাইছি। আমার সাথে তো সে এখন বিয়ের প্রথম দিনগুলোর মত আন্তরিকতা নিয়ে কথা বলে না। খুব আঘাত পেলাম।
তবে নিজেকে বুঝ দিলাম, ওর দিকটাও তো দেখা লাগবে। বেচারি আসলেই তো অনেক কাজ করে। এতগুলো দায়িত্ব পালন করাটাও তো সাধ্যের বাইরের কাজ।

তবে একদিন সোনা বউটা আমার গলা জড়িয়ে বললো, "এই তুমি রাগ করেছ নাকি?" আমি ভেতরে ভেতরে বেশ খুশি হয়ে ওঠলেও মুখে এমন ভাব করলাম, যেন আমি আসলেই বেশ রেগে আছি। সে আমাকে আদর-সোহাগ করতে লাগলো। পরিতৃপ্ত হলাম। এটাই তো জীবন। আহ!! 

সবকিছু শেষে সে আমাকে জানাল,
"নান্টুর মা গতকালও আসেনি, আজও আসছে না।"
আমি বললাম, "আচ্ছা, অসুস্থ বোধহয়।"
সে মুখ বাঁকা করে বললো, "অসুস্থ না ছাই। রান্নাঘরের বাটনা বাটার শিলটা চুরি করে নিয়ে গেছে। আর আসার নাম নেই। এখন আমি কী করবো বলো তো!"
আমি বললাম, "কয়েকটা দিন দেখো। নতুন বুয়া পাও কি না খোঁজ নাও। পাশের ভাবীদের জিজ্ঞাসা করো।"
সে আমার কাছ থেকে আলাদা হয়ে বললো,
"সব যদি আমিই করি, তাহলে তোমাকে আজ  এত আদর করলাম কেন?"

বিছানা ছেড়ে নেমে কোমরে আঁচল বেঁধে সে বেরিয়ে গেল রুম থেকে। আমি অবাক। বউটা আমার তো দেখছি বেশ স্বার্থপর। একটা কাজের বুয়া জোগাড়ের জন্যে এভাবে আমাকে আদর-সোহাগের নামে ঘুষ দিল! বেশ কষ্ট পেলাম।
তবে নিজেকে বুঝ দিলাম, স্বামী হিসেবে এটাও তো আমার কর্তব্য। একটা কাজের বুয়া যদি ঠিক করে দিতে না পারি, তবে স্বামী হিসেবে স্বামীসমাজে মুখ কীভাবে দেখাব!

আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম। ভাইটার দিকে আলাদাভাবে দেখার সময় ছিল না। তাছাড়া প্রিয় বউটা তো আছেই। সেই ঠিকঠাক খেয়াল রাখছে হয়ত বা। বেশ ঝামেলা করে শেষমেশ একটা কাজের বুয়া ঠিক করতে পারলাম। বউও খুশি। তার খুশি দেখে আমিও খুশি। 

খামারের ব্যবসা থেকে যা লাভ আসে, আগে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রেখে দিতাম। বউ বলল, এখন থেকে সেগুলো যেন তার হাতেই দিয়ে দিই। সে তার অ্যাকাউন্টে রাখবে। আর এটাও বুঝিয়ে দিল যে, তার অ্যাকাউন্ট আর আমার অ্যাকাউন্ট তো আলাদা কিছু নয়। একটাতে রাখলেই হলো। খুব গভীর একটা চুমু এঁকে দিয়েছিল সেদিন আমার ঠোঁটে। ঠোঁটে লেগে থাকা সেই চুমুর স্পর্শের জোরেই কি না তা বলতে পারি না, আমি টাকাগুলো তার হাতেই তুলে দেয়াটাকে নিরাপদ বলে ধরে নিলাম। 

তবুও বউটা আমাকে ওভাবে সময় দিত না। সারাক্ষণ দেখি, মোবাইল ফোনে কথা বলেই যাচ্ছে বাপের বাড়ির মানুষদের সাথে। আর অবসরের সঙ্গী টেলিভিশন তো আছেই। শুধু আমি যেন থেকেও নেই। নিজেকে খুব তুচ্ছ মনে হতে লাগলো। ভাবলাম, এর নামই কি বেঁচে থাকা! বিষণ্ণতার পথ ধরে ঘুমের রাজ্যে পৌঁছে আমার প্রতিটা দিনের সমাপ্তি ঘটত।

ছোট ভাইটার পরীক্ষা শেষ হয়ে রেজাল্ট হাতে এলো। দু'টো বিষয় বাদে বাকি বিষয়গুলোর মানের পাশে লাল বর্ণের 'F' অক্ষরটি দেখে মাথায় রক্ত চড়ে গেল। প্রথম চড়টা বসিয়ে দিলাম ছোট ভাইটার মুখেই। মনে মনে ভেবে রেখেছিলাম দ্বিতীয় চড়টা তথাকথিত 'সোনাবউ'টার মুখেই বসিয়ে দিব। তবে বউয়ের সামনে গিয়ে সেই ইচ্ছেটুকু হজম করে নিলেও ঝাড়ি দেয়ার ইচ্ছেটাকে হজম করলাম না। 

"তুমি ওকে কেমন পড়ালে! এই দেখো কতগুলো সাবজেক্টে ফেল করেছে ও। তুমি কি আদৌ পড়াশুনা জানো?"
আমার খোঁচায় বউ যেন তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠলো।
"আমি পড়াশুনা জানি না মানে! বিয়ের আগেই আমি মাস্টার্স শেষ করেছি, এটা জানো! তোমার চেয়ে বেশি শিক্ষিত আমি!"

আমি ওর খোঁচায় কান না দিয়ে সেই খোঁচাকেই বুমেরাং বানিয়ে বললাম,
"ওটাই তো। আমার চেয়ে বেশি শিক্ষিত বলেই তো তোমাকে দায়িত্ব দিয়েছি ওকে পড়ানোর জন্যে। তোমার কাজের চাপটা যেন কমে, সেজন্যে একটা বুয়াও ঠিক করে দিয়েছি। আর তুমি তো তখন বলেছিলে, পড়িয়ে ওকে বিদ্যাসাগর বানিয়ে ছাড়বে। আর তা না হলে নাকি স্বেচ্ছায় আমাকে ছেড়ে দিবে।"

কোমরে আঁচল বেঁধে আমার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়ে সে বললো,
"আমি কি তোমার বান্দি! তুমি যা বলবে, সেটা করতেই কি আমি বাধ্য! আর আমি তোমার ভাইকে পড়াইনি, এটা কীভাবে প্রমাণ করবে!? ওকেই জিজ্ঞাসা করো।"
ছোট ভাইটার দিকে তাকালাম চোখে প্রশ্ন নিয়ে। সে একবার আমার দিকে তাকালো, একবার আমার বউয়ের দিকে, এরপর মাথা নিচু করে ফেললো। 
আমি তখন যেন হেরেই গেলাম। কেন এমন হচ্ছে আমার সাথেই! বউটা কি আমাকে তাহলে শত্রুজ্ঞান করে? 
তবুও নিজেকে বরাবরের মতই একটা বুঝ দিলাম, একপ্রস্থ দীর্ঘশ্বাস ফেলে।

অনেকদিন এভাবেই কেটে গেল। অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হলো না। তবে চুপচাপ সয়ে যাচ্ছিলাম।

খামারে কাজ করি, তাই দিনের বেশিরভাগ সময়টাই খামারেই কাটাই। দুপুরের দিকে ভাতঘুম দিতে বাসায় ফিরি। এবং একেবারের জন্যে ফিরি সন্ধ্যে নামার ঘণ্টাখানেক বাদে। মা আমার বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ইদানিং। ডাক্তার বলেছেন, যত্নের যেন ত্রুটি না হয়। যত্নের ব্যাপারে ডাক্তার যা বললো, ঘরে ফিরে আমি বউকে সেটাই বললাম। এও বললাম, এবার যেন ব্যাপারটাতে একটু গুরুত্ব দেয়। 

প্রতি রাতে ঘরে ফিরে ঘুমোনোর আগে মায়ের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করতাম। কয়েকদিন বাদে লক্ষ্য করতে লাগলাম, রাত আটটা না বাজতেই মা ঘুমিয়ে পড়ছেন। তখন আর তাঁকে জাগাতাম না। তবে সারাদিনে ওই একটা মুহূর্ত ছাড়া সাক্ষাতের কোনো সুযোগ ছিল না। কয়েকটা দিন ওই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে দেখলাম। বিষয়টা আমাকে ওভাবে ভাবাত না, যদি না ঔষধের শিশিগুলোর দিকে আমার নজর না যেত।

ডাক্তারের কাছে পুনরায় যাওয়ার তারিখ ঘনিয়ে আসতেই ঔষধ কতটুকু পরিমাণ বাকি রয়েছে তা দেখতেই বেশ ধাক্কা খেলাম। শিশির বোতলটা এখনও অর্ধেকটাও শেষ হয়নি। অন্য ট্যাবলেটগুলোও প্যাকেটেই বহাল আছে। এ দু'সপ্তাহে কি তাহলে একটাও ঔষধের অনুপ্রবেশ ঘটেনি মায়ের শরীরে? 
মায়ের কাছে ছুটে গেলাম। মাকে জাগাতে চেষ্টা করলাম। মা অনেক কষ্টে চোখটা মেলে ধরলেন। তাও কয়েক সেকেন্ডের জন্যে। এরপর আবারও চোখের পাতা বন্ধ করে মুখ দিয়ে গড়গড় করে শব্দ করতে থাকলেন।

মায়ের এমন অবস্থা দেখে আমি ঘাবড়ে গেলাম।  বউকে খুঁজতে লাগলাম তখন। সারা ঘর খুঁজেও তাকে পেলাম না। তবে ছোট ভাইটাকে তার ঘরে পেলাম। দেখলাম, তার ঘরজুড়ে সিগারেটের ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ে চারদিক অস্পষ্ট করে তুলেছে। সাথে গাঁজাপোড়ার দুর্গন্ধ পেলাম। ভেতরে ঢুকে তার কাছে দাঁড়াতেই টের পেলাম রাজ্যের সমস্ত নেশা তার দু'চোখকে টকটকে লাল করে ফেলেছে। সাথে তার শরীরটাও প্রায় অসার হয়ে আছে। 

মৃত্যুপথযাত্রী মা, ও নেশার ছোবলে আক্রান্ত  ভাইকে দেখে আমি হতাশ, হতবাক এবং উত্তেজিত ও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেছিলাম। সারা ঘর খুঁজেও যখন বউকে খুঁজে পেলাম না, তখন ফোন করলাম তার বাবাকে।

ফোনকলটা রিসিভ করলো আমার 'প্রাণের বউ।'
"শোনো প্রিয় স্বামী, তোমার সাথে যা ঘটেছে, তা যদি আর কাউকে বলতে যাও, তবে তোমাকে মরতে হবে। তোমার মা তো মরেছেই। ভাইটাকেও নষ্ট করে দিয়েছি আমি। আর আমার নামে যত টাকা তুমি অ্যাকাউন্টে জমা রেখেছ, সবই এখন আমার দখলে। আফসোস একটাই, তোমার অ্যাকাউন্টে হাজার দশেক ছাড়া আর কিছুই নেই। আমি সব লুফে নিয়েছি। তোমার মত বোকা স্বামী পেয়ে আমি আসলেই গর্বিত। বোকা মানুষকে আরও বোকা বানানোর মত আনন্দ আর নেই। হা হা। তোমাকে বলতে পারছি না 'ভালো থেকো।' তোমাদের ভালো রেখে আমাদের তো কোনো লাভ নেই।"

ফোনকলটা কেটে গেল। আমি ফিরে এলাম ঘরে। সবকিছুই তো হারিয়েছি। আর কীইবা বাকি থাকলো? 

মনে পড়ে গেল, সবার পছন্দেই বিয়েটা করেছিলাম। যখন বিয়েটা হচ্ছিল, তখন সকলের মনে সে কী আনন্দ! সে কী উত্তেজনা! সবাই যেন স্লোগান দিচ্ছিল আনন্দের আতিশয্যে। 
সেসময়ে কী জানতাম, সোনামুখটার আড়ালে এত বড় একটা পিশাচ লুকিয়ে ছিল!

মায়ের কাছে ফিরে এলাম। মা তখনও কাঁপছেন। মায়ের হাতটা ধরলাম। সেটা প্রায় ঠাণ্ডা হয়ে এসেছে।
আমার চোখের সামনে আমার মা মারা যাচ্ছেন। আর আমি কিছুই করতে পারছি না। নিজেকে খুব অযোগ্য বলে মনে হলো।

খুব ঘৃণাভরে আমার বউটার মুখ স্মরণ করতে চেষ্টা করলাম। আশ্চর্য্যের বিষয় হলো, তার চেহারা স্মরণে এলো না। বরং চোখের সামনে ভেসে এলো সেই নারীর হাস্যোজ্জ্বল 'মিষ্টি' চেহারাটুকু, যিনি আজ এই দেশকে পরিচালনা করছেন। 

Post a Comment

Previous Post Next Post