দেখো, প্রিয়,
তোমার চোখের মাঝেই আমি দেখতে পাই নিজের প্রতিচ্ছবি।
তোমার দু'চোখের গাঢ় কৃষ্ণ মণিখানার চাহনি বেশ স্নিগ্ধ, কোমল,
ঠিক তোমার স্বভাবটুকুর মতই।
দেখো, প্রিয়,
তোমার নাতিদীর্ঘ চুলের কোমলতা যেন আমায় পেয়ে বসেছে।
তোমার চুলের গন্ধটুকু আমি কল্পনাতেই নিয়েছি গ্রহণ করে।
তোমার চুলের মাঝে আমার হাতের চারটি আঙ্গুলের বিলি কেটে দেয়াকে তুমি পরম পুলকের সাথে যেন গ্রহণ করে নিচ্ছ।
দেখো, প্রিয়,
আমি তোমার মুখের দিকে চেয়ে আছি।
স্থির সেই মুখখানা।
নিষ্পাপ চাহনি।
কোমল।
যেন তোমায় ছুঁয়ে যায়নি জগতের যত নিষ্ঠুরতা।
আমি চেয়ে আছি,
তুমিও চেয়েছিলে,
তবে একগাল লাজের হাসি হেসে তুমি চোখ লুকালে,
মুখ লুকালে,
আমার দিকে পিঠটুকু ফেরালে।
মাইনাস ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ পাওয়ারের চশমার কাঁচ ভেদ করে আমি তোমার লজ্জা, সঙ্কোচ ও আনন্দটুকু প্রত্যক্ষ করে নিলাম।
স্মিতহাস্যে নিজের মুখটাকে সামান্য প্রসারিত করলাম।
তুমি তখনও মুখটাকে ঢেকে রেখেছ।
শোনো, প্রিয়,
আমি খুব বেশি আবেগপ্রবণ কি না, বলতে পারি না।
জীবন নামের এই কিতাবের যতগুলো পৃষ্ঠা, যতগুলো অধ্যায় পেরিয়ে যাচ্ছে,
যতগুলো ঘটনার সাক্ষী হয়ে আমার বয়সটা প্রতিটা দিনের সাথী হয়েই পেরিয়ে যাচ্ছে,
সেসবের সাথে পাল্লা দিয়েই আমি নিজেকে চিনতে শুরু করছি,
একেবারে নতুনভাবেই,
একেবারে ভিন্নভাবেই।
কয়েকটি বছর আগেও নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও অহমিকাটুকু ছিল প্রবল, প্রয়োজনাতীত।
ধীরে ধীরে সেসব কমে এসে এখন হয়ে পড়ছি শান্ত, স্থির, এবং সম্ভবত সুবিবেচক।
ভেবেচিন্তেই পা ফেলি, জীবন-সিঁড়ির প্রতিটা ধাপে।
শোনো, প্রিয়,
এরই মাঝে তুমি এলে,
আমার জীবনের এই এলোমেলো অধ্যায়ে।
তবে তোমার আগমনে আর দশজনের জীবনের মত আমার জীবনটা আরো এলোমেলো হয়নি।
বরং পুলক এসেছে, স্বস্তি এসেছে।
আরো পেয়েছি তপ্ত নিঃশ্বাসের, যাবতীয় গ্লানির গল্প শোনার একজন চমৎকার শ্রোতা।
জীবনের জটিলতা উপলব্ধিতে টানছি তোমার জীবনের গল্প শুনে।
আর দশটা 'মাম্মিড্যাডি'ময় অষ্টাদশী নও তুমি।
তুমি পরিপক্ব মেজাজের।
তুমি বাস্তববাদী।
তোমার মাঝে নেই আবেগের বাড়াবাড়ি।
নেই আদিখ্যেতা।
বরং এর বদলে আছে জীবনের হিসেব বোঝার তীক্ষ্ম ক্ষমতা।
আরো আছে দায়িত্ব বহনের উপযোগী সুদৃঢ় মনোবল।
শোনো, প্রিয়,
ঠিক এ কারণেই,
ঠিক এসব বিবেচনা করেই,
আমি তোমাকে টেনেছি খুব কাছে।
তুমি কাব্য লিখতে জানো না,
গল্প লিখতে জানো না,
রাশভারী প্রবন্ধ পড়তে জানো না,
রাজনীতির আলাপ করতে জানো না।
তবে তুমি চেনো, জীবনের জটিলতার কালো মুখটিকে।
তুমি জানো, জীবনের কষ্ট কাকে বলে।
তুমি জানো, ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট কতটা তীব্র।
আমিও এর কিছুটা জানি। তবে তোমার মত তীব্রভাবে নয়।
আমি গল্পকার বলেই হয়ত সেসবের গল্প শুনতে তোমার শরণ নিয়েছি।
তুমি কি তোমার রাঙা মুখ দিয়ে সেসব গল্প আমায় শোনাবে?
কাছে এসো, প্রিয়,
হাতটা ধরো চেপে।
উপরে তাকিয়ে দেখো তো।
আকাশের চাঁদটা খুব চমৎকার লাগছে না আজ!
হ্যাঁ, লাগছে তো।
তবে তুমি কেন আছ চুপ করে।
সে কী, মাথা নিচু করে আছ কেন?
লজ্জা পাচ্ছ বুঝি?
আচ্ছা, আর লজ্জাবতী হতে হবে না।
তুমি চুপ করেই থাকো। আমি চলে যাই।
সে কী, হাত ধরে টানছো কেন?
কিছু কি বলবে?
আচ্ছা, তবে চুপ করে আমার কাঁধে মাথাটা রেখে,
পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকাও।
প্রিয়,
খুব আশ্চর্য্য মানবী তুমি।
তোমার স্পর্শে,
কাটখোট্টা,
রোমান্টিকতাবিবর্জিত,
আবেগশূন্য এই গল্পকার,
আজ পুরোদস্তুর ভাবুক ও আদিখ্যেতাপূর্ণ প্রেমিক হয়ে গেল।
সত্যিই তুমিই জিতলে প্রিয়।
তোমায় আমি......।
এই যে দেখো, সেই চার অক্ষরের শব্দটা আমার মুখেও আটকে যাচ্ছে,
সেই একই সঙ্কোচে,
সেই একই লজ্জায়
সেই একই আনন্দে।
তোমার চোখের মাঝেই আমি দেখতে পাই নিজের প্রতিচ্ছবি।
তোমার দু'চোখের গাঢ় কৃষ্ণ মণিখানার চাহনি বেশ স্নিগ্ধ, কোমল,
ঠিক তোমার স্বভাবটুকুর মতই।
দেখো, প্রিয়,
তোমার নাতিদীর্ঘ চুলের কোমলতা যেন আমায় পেয়ে বসেছে।
তোমার চুলের গন্ধটুকু আমি কল্পনাতেই নিয়েছি গ্রহণ করে।
তোমার চুলের মাঝে আমার হাতের চারটি আঙ্গুলের বিলি কেটে দেয়াকে তুমি পরম পুলকের সাথে যেন গ্রহণ করে নিচ্ছ।
দেখো, প্রিয়,
আমি তোমার মুখের দিকে চেয়ে আছি।
স্থির সেই মুখখানা।
নিষ্পাপ চাহনি।
কোমল।
যেন তোমায় ছুঁয়ে যায়নি জগতের যত নিষ্ঠুরতা।
আমি চেয়ে আছি,
তুমিও চেয়েছিলে,
তবে একগাল লাজের হাসি হেসে তুমি চোখ লুকালে,
মুখ লুকালে,
আমার দিকে পিঠটুকু ফেরালে।
মাইনাস ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ পাওয়ারের চশমার কাঁচ ভেদ করে আমি তোমার লজ্জা, সঙ্কোচ ও আনন্দটুকু প্রত্যক্ষ করে নিলাম।
স্মিতহাস্যে নিজের মুখটাকে সামান্য প্রসারিত করলাম।
তুমি তখনও মুখটাকে ঢেকে রেখেছ।
শোনো, প্রিয়,
আমি খুব বেশি আবেগপ্রবণ কি না, বলতে পারি না।
জীবন নামের এই কিতাবের যতগুলো পৃষ্ঠা, যতগুলো অধ্যায় পেরিয়ে যাচ্ছে,
যতগুলো ঘটনার সাক্ষী হয়ে আমার বয়সটা প্রতিটা দিনের সাথী হয়েই পেরিয়ে যাচ্ছে,
সেসবের সাথে পাল্লা দিয়েই আমি নিজেকে চিনতে শুরু করছি,
একেবারে নতুনভাবেই,
একেবারে ভিন্নভাবেই।
কয়েকটি বছর আগেও নিজের মাঝে আত্মবিশ্বাস ও অহমিকাটুকু ছিল প্রবল, প্রয়োজনাতীত।
ধীরে ধীরে সেসব কমে এসে এখন হয়ে পড়ছি শান্ত, স্থির, এবং সম্ভবত সুবিবেচক।
ভেবেচিন্তেই পা ফেলি, জীবন-সিঁড়ির প্রতিটা ধাপে।
শোনো, প্রিয়,
এরই মাঝে তুমি এলে,
আমার জীবনের এই এলোমেলো অধ্যায়ে।
তবে তোমার আগমনে আর দশজনের জীবনের মত আমার জীবনটা আরো এলোমেলো হয়নি।
বরং পুলক এসেছে, স্বস্তি এসেছে।
আরো পেয়েছি তপ্ত নিঃশ্বাসের, যাবতীয় গ্লানির গল্প শোনার একজন চমৎকার শ্রোতা।
জীবনের জটিলতা উপলব্ধিতে টানছি তোমার জীবনের গল্প শুনে।
আর দশটা 'মাম্মিড্যাডি'ময় অষ্টাদশী নও তুমি।
তুমি পরিপক্ব মেজাজের।
তুমি বাস্তববাদী।
তোমার মাঝে নেই আবেগের বাড়াবাড়ি।
নেই আদিখ্যেতা।
বরং এর বদলে আছে জীবনের হিসেব বোঝার তীক্ষ্ম ক্ষমতা।
আরো আছে দায়িত্ব বহনের উপযোগী সুদৃঢ় মনোবল।
শোনো, প্রিয়,
ঠিক এ কারণেই,
ঠিক এসব বিবেচনা করেই,
আমি তোমাকে টেনেছি খুব কাছে।
তুমি কাব্য লিখতে জানো না,
গল্প লিখতে জানো না,
রাশভারী প্রবন্ধ পড়তে জানো না,
রাজনীতির আলাপ করতে জানো না।
তবে তুমি চেনো, জীবনের জটিলতার কালো মুখটিকে।
তুমি জানো, জীবনের কষ্ট কাকে বলে।
তুমি জানো, ক্ষুধা-তৃষ্ণার কষ্ট কতটা তীব্র।
আমিও এর কিছুটা জানি। তবে তোমার মত তীব্রভাবে নয়।
আমি গল্পকার বলেই হয়ত সেসবের গল্প শুনতে তোমার শরণ নিয়েছি।
তুমি কি তোমার রাঙা মুখ দিয়ে সেসব গল্প আমায় শোনাবে?
কাছে এসো, প্রিয়,
হাতটা ধরো চেপে।
উপরে তাকিয়ে দেখো তো।
আকাশের চাঁদটা খুব চমৎকার লাগছে না আজ!
হ্যাঁ, লাগছে তো।
তবে তুমি কেন আছ চুপ করে।
সে কী, মাথা নিচু করে আছ কেন?
লজ্জা পাচ্ছ বুঝি?
আচ্ছা, আর লজ্জাবতী হতে হবে না।
তুমি চুপ করেই থাকো। আমি চলে যাই।
সে কী, হাত ধরে টানছো কেন?
কিছু কি বলবে?
আচ্ছা, তবে চুপ করে আমার কাঁধে মাথাটা রেখে,
পূর্ণিমার চাঁদের দিকে তাকাও।
প্রিয়,
খুব আশ্চর্য্য মানবী তুমি।
তোমার স্পর্শে,
কাটখোট্টা,
রোমান্টিকতাবিবর্জিত,
আবেগশূন্য এই গল্পকার,
আজ পুরোদস্তুর ভাবুক ও আদিখ্যেতাপূর্ণ প্রেমিক হয়ে গেল।
সত্যিই তুমিই জিতলে প্রিয়।
তোমায় আমি......।
এই যে দেখো, সেই চার অক্ষরের শব্দটা আমার মুখেও আটকে যাচ্ছে,
সেই একই সঙ্কোচে,
সেই একই লজ্জায়
সেই একই আনন্দে।
Post a Comment