মেটাফরিক?
কেন এমন লেখায় নিজের মগজটাকে খাটাবো!
কেন তেমন শেখায় লাজের এক থলিটাকে পাঠাবো!
হাল ধরেছি, কাল মেপেছি; 'কাল' হলো ওই সময়,
আমি গাল টেনেছি, সাল গুনে পাল টেনেছি নিশ্চয়।
টাইটানিকের ন্যায় বিশালত্বে আমি উঠিনি,
সপ্তডিঙা মধুকরের সেই ডিঙা ধার করিনি,
ওই লীগের মার্কামারা সেই নৌকাও কিনিনি।
আমি মনের জগতে, প্রাণের জগতে
পবন এনেছি টেনে,
আমি কালো গোলাপকে হাতে মুঠো করে
খুব নিয়েছি কিনে।
সেই পবনের স্পর্শ গায়ে মেখে,
তার স্বাদ প্রতি কোষে কোষে রেখে,
হাতুড়ি, পেরেক চালিয়েছি
এক তক্তাসম ভেলায়,
দিন কাটাইনি অবহেলায়!
সেই ভেলা হলো বেশ নড়বড়ে,
তার এখানেওখানে বেশ নড়েচড়ে।
কখনও এদিকে, কখনও ওদিকে
পানি ঢুকে যায় অভাবের মত,
ছানাবড়া চোখে, দেখি চারিদিকে
হাত সবগুলো ছিল পাশে যত।
পাইনি হাতের দেখা
হলো আমারই শেখা।
সুখের মধুর লগনে,
ওই সুখময় লাল গগনের নিচে
এক-দশ-শত-হাজারো মাছিকে
পাবে তুমি পাশে, তবু যে পাবে না
তাদের, বৈরী আবহে;
কাঁদবে তুমি, বিরহে।
বিরহে বিভাবরী কাটে না,
অহল্যা ললনা হাসে না;
প্রতিটি মানুষই প্রতিটি স্বার্থে,
প্রতিটি ক্ষণেরই প্রতিটি আর্তে,
সজল, স্ফটিক জোড়ানেত্রে,
তোমাকে ছাড়বে-ধরবে,
খুব কমই তোমাকে বুঝবে।
দ্বীপে থেমে গিয়ে মেরামত করি জীর্ণ ভেলাটাকে,
ফুটোগুলো সব ঢেকেঢুকে ফেলি, রূপটা দেই তাকে।
ঠেলে নিয়ে তাকে ভাসাই তেলমেশানো বঙ্গসাগরের জলে,
আমার মনেতে, আমার মগজে, তখনই আশার টাংস্টেন জ্বলে।
ভোরের প্রসবী প্রতীক্ষা থাকে এক মুঠো আশা বুকে,
সেই সময় কাটাতে মেটাফরিজম ছড়াই নোটবুকে।
এই মেটাফরিক বা রূপক কাব্যে,
পাঠক-পাঠিকা কী না কী ভাববে,
সেই চিন্তায় যাইনি কখনও, যেতে চায় না মন,
এই কাব্যের যত ত্রুটিবিচ্যুতি ধরবে সবে এখন।
ভাঙবে আঁধার-পাহাড়, অনন্ত অমর
আমি অভিযোগীদের দলে না গিয়ে করে যাব সবর।
এই সবরের তিতকুটে চিরকুটে পাব এক বার্তা,
সেই দিঠিতে ছুটবো, দূরদূরান্ত পাড়ি দিব পরে কোর্তা।
জুতোর তলায় কিছুই হয়নি, জুতোই তো নেই পায়ে,
তাই নগ্ন দু'পায়ে পথ পাড়ি দিব, ভেসে ভেলা কিবা নায়ে।
কেন এমন লেখায় নিজের মগজটাকে খাটাবো!
কেন তেমন শেখায় লাজের এক থলিটাকে পাঠাবো!
হাল ধরেছি, কাল মেপেছি; 'কাল' হলো ওই সময়,
আমি গাল টেনেছি, সাল গুনে পাল টেনেছি নিশ্চয়।
টাইটানিকের ন্যায় বিশালত্বে আমি উঠিনি,
সপ্তডিঙা মধুকরের সেই ডিঙা ধার করিনি,
ওই লীগের মার্কামারা সেই নৌকাও কিনিনি।
আমি মনের জগতে, প্রাণের জগতে
পবন এনেছি টেনে,
আমি কালো গোলাপকে হাতে মুঠো করে
খুব নিয়েছি কিনে।
সেই পবনের স্পর্শ গায়ে মেখে,
তার স্বাদ প্রতি কোষে কোষে রেখে,
হাতুড়ি, পেরেক চালিয়েছি
এক তক্তাসম ভেলায়,
দিন কাটাইনি অবহেলায়!
সেই ভেলা হলো বেশ নড়বড়ে,
তার এখানেওখানে বেশ নড়েচড়ে।
কখনও এদিকে, কখনও ওদিকে
পানি ঢুকে যায় অভাবের মত,
ছানাবড়া চোখে, দেখি চারিদিকে
হাত সবগুলো ছিল পাশে যত।
পাইনি হাতের দেখা
হলো আমারই শেখা।
সুখের মধুর লগনে,
ওই সুখময় লাল গগনের নিচে
এক-দশ-শত-হাজারো মাছিকে
পাবে তুমি পাশে, তবু যে পাবে না
তাদের, বৈরী আবহে;
কাঁদবে তুমি, বিরহে।
বিরহে বিভাবরী কাটে না,
অহল্যা ললনা হাসে না;
প্রতিটি মানুষই প্রতিটি স্বার্থে,
প্রতিটি ক্ষণেরই প্রতিটি আর্তে,
সজল, স্ফটিক জোড়ানেত্রে,
তোমাকে ছাড়বে-ধরবে,
খুব কমই তোমাকে বুঝবে।
দ্বীপে থেমে গিয়ে মেরামত করি জীর্ণ ভেলাটাকে,
ফুটোগুলো সব ঢেকেঢুকে ফেলি, রূপটা দেই তাকে।
ঠেলে নিয়ে তাকে ভাসাই তেলমেশানো বঙ্গসাগরের জলে,
আমার মনেতে, আমার মগজে, তখনই আশার টাংস্টেন জ্বলে।
ভোরের প্রসবী প্রতীক্ষা থাকে এক মুঠো আশা বুকে,
সেই সময় কাটাতে মেটাফরিজম ছড়াই নোটবুকে।
এই মেটাফরিক বা রূপক কাব্যে,
পাঠক-পাঠিকা কী না কী ভাববে,
সেই চিন্তায় যাইনি কখনও, যেতে চায় না মন,
এই কাব্যের যত ত্রুটিবিচ্যুতি ধরবে সবে এখন।
ভাঙবে আঁধার-পাহাড়, অনন্ত অমর
আমি অভিযোগীদের দলে না গিয়ে করে যাব সবর।
এই সবরের তিতকুটে চিরকুটে পাব এক বার্তা,
সেই দিঠিতে ছুটবো, দূরদূরান্ত পাড়ি দিব পরে কোর্তা।
জুতোর তলায় কিছুই হয়নি, জুতোই তো নেই পায়ে,
তাই নগ্ন দু'পায়ে পথ পাড়ি দিব, ভেসে ভেলা কিবা নায়ে।
Post a Comment