কুয়াশাঘেরা ভোরের,
শিশিরস্নাত ঘাসের,
'পরে পা বিছিয়ে
ইনিয়েবিনিয়ে,
যাব দূর পথে হেঁটে;
কিনবো সুখের অনুভব,
সাথে নিব খুশি দুর্লভ,
লিকারের মাঝে,
আদার ঝাঁজে,
ডুববো, চশমা সেঁটে।

মজি বইয়ের প্রেমে,
চশমার ফ্রেমে,
প্রতিটি পাতার ছায়া পড়ে;
পাতা উল্টাতে গিয়ে,
চক্ষু বুলিয়ে
যাই আমি কোনো দিবা অবসরে।

আজ পায়ের কোণের
ছোট অঙ্গুলি,
ঘায়ে ঘায়ে হলো,
ম্যাড়মেড়ে;
তাতে তাকিয়ে
বিষ তাঁতিয়ে,
বড় যাতনা সহি
মাথা নেড়ে।

এই আজেবাজে
যত কাজে মাঝেমাঝে
ব্যর্থের মত
মজে যাই;
তবে দিনশেষে
হেরে অবশেষে
আমি বোধকরি
এই মাথা লুকাই।

ভোরের স্নিগ্ধতা
বুঝি না,
কালের তপ্ততা
মাপি না।
হাজারো আবহে
পবন প্রবাহে,
কান টেনে নিয়ে
অপরাধ আনি স্বীকারে;
দশটি প্রাপ্তি
আনে যে তৃপ্তি,
সেই আনন্দে
নামি 'পরাজয়' শিকারে।

এই ভোরের আগে
এসেছিল এক রাত,
খুব নিশ্চুপ ছিল সেটি
আনতে রাঙা প্রভাত।
নবজাতকের মতই
সেটি হয়ত ছিল পাপহীন,
তবে তার মাঝে থাকা মানুষগুলোর
পাপ বয়ে গেছে সীমাহীন।

এই উজালায় রাঙা
রাঙা প্রভাতের,
স্তুতি গাই, ভুলে
পাপ সে রাতের।
বইয়ের পাতায় স্বপ্ন খুঁজি,
বইতেই মুখ গুঁজি;
আমি বইয়ের মাঝেই জেগে থাকি,
আর বইতেই চোখ বুজি।

তাই হেঁটে যাব ওই শিশিরস্নাত
ঘাসের উপর দিয়ে,
আর হাতে থাকে যদি প্রিয় বইখানা
চিন্তা কীসের নিয়ে?

Post a Comment

Previous Post Next Post