হাতটা শীর্ণতায়
হয়েছে শীর্ণকায়।
সজীব, সতেজ ঠোঁটযুগল আজ রুক্ষতায় হলো ভীড়,
এই শীর্ণ হাতেই আমি অভাগা ভেঙেছি নিজেরই নীড়।
ভালোবাসতাম তাকে,
তার গোলাপী আভাকে।
তার হাতদু'টো আমি ধরেছিলাম চেপে
সেই রাতের প্রতিটি ক্ষণকে মেপে।
তবে ছুঁইনি তার শরীর ওভাবে
একটি ধর্ষক ছোঁয় যেভাবে।
স্বপ্ন ছিল আমার,
তাকে ঘিরে আমি গড়ব সংসার।
সে সংসার হবে সোনায় রাঙা,
চাঁদের কিরণে রাঙা।
সেই স্বপ্নের মাস্তুলে বসে
টেনে যাব দ্বার,
করবো ভালোবাসার উদ্ধার।
তাকে ব্যবহার করিনি অন্য সব
রোডসাইড রোমিওর মত,
ঢেলে দিয়েছি জলের ন্যায়
ভালোবাসা আছে যত।
তবু সে ছেড়ে গেল,
আমায়, আমার সমস্তটাকে,
আমি ভুলতে পারলাম না তাকে।
আমি হাতে তুলে নিলাম সিগারেট,
তাতে মনটা হলো না নিরেট।
তাতে গুঁজে নিলাম গঞ্জিকা,
পাতা উল্টালো পঞ্জিকা।
বাবার পকেট মেরে
'বাবা'র কাছে হাতটা পেতে
নাকটা পেতে,
টানতাম জোরে,
যেন স্মৃতিগুলো ফিরে না আসে ভুল করে।
হেরোইনের আকর্ষণে ঝিম ধরা শিখলাম,
ঝিমোতে ঝিমোতেই কত কাব্য যে লিখলাম।
একদিন এমনই এক রাতে
দেখা হলো তোমারই সাথে।
তুমি এসে আমার হাতটি ধরে বলেছিলে,
"তুমি তো ছিলে না এমন নেশাখোর ছেলে।"
নেশার ঘোরে, ভ্রমে দেখেছি তোমাকে,
তুমি তো আছ সুখে, আমায় কে ডাকে?
আমায় ডাকার মানুষের অভাব নেই,
আমি সিরিঞ্জটা তার থেকে টেনে নিই।
প্রবেশ করাই সেটি কালোশিরায়,
ধীরে ধীরে, খুবই সাবধানে,
যেন আমার বিবেকবোধটাও না জানে।
ভাবছ, এসব টেনে আমি মজা পাই,
মজা পাই না, তবুও এগুলোই চাই।
এসব না নিলে ঘিরে ধরে শূন্যতা
সকলেই তাকে ডাকে 'অস্থিরতা'।
আমি নেই নিজের মাঝে,
নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ,
কারো নেই নিমন্ত্রণ।
নিজের অজান্তেই আমি যাই সেগুলোর পানে,
সেসবে শান্তি পাওয়ার নেই কোনো মানে।
ব্লাড ব্যাংকে গিয়েছি আজ,
ভেবেছি, রক্তটা বেচে পাব কিছু টাকা,
তাতে কিনে নিব কিছু ভুলে থাকার সরঞ্জাম।
রক্তে পাওয়া গেল ভাইরাস,
সেই মরণঘাতির,
যেটি পাওয়া গিয়েছিল সমকামীদের শরীরে,
সেই পঁয়ত্রিশটা বছর আগে।
আজ আমারও হলো তা।
আজ আমি লিখি কবিতা।
তাতে নেই তালছন্দ,
তাতে নেই আনন্দ।
আজ আমি বেঁচে আছি,
কাল থাকছি না,
আমার যত বেদনা
মনে রাখছি না।
এক নেশাখোরের গল্প জেনে
কবিতা পড়ে
লাভটা কোথায়?
এটা কবিতা নয়,
অকবিতা।
আমার জীবনটাও
অপজীবন।
আছি এর শেষ অধ্যায়ে।
খড়কুটোর মতই সেটি যাচ্ছে ভেসে,
আর আমিও উঠছি বারেবারে হেসে।
হ্যাঁ, আমি হেরে গেছি,
মাদকের কাছে,
তুমি তো হারোনি
তোমার সুযোগ আছে।
হয়েছে শীর্ণকায়।
সজীব, সতেজ ঠোঁটযুগল আজ রুক্ষতায় হলো ভীড়,
এই শীর্ণ হাতেই আমি অভাগা ভেঙেছি নিজেরই নীড়।
ভালোবাসতাম তাকে,
তার গোলাপী আভাকে।
তার হাতদু'টো আমি ধরেছিলাম চেপে
সেই রাতের প্রতিটি ক্ষণকে মেপে।
তবে ছুঁইনি তার শরীর ওভাবে
একটি ধর্ষক ছোঁয় যেভাবে।
স্বপ্ন ছিল আমার,
তাকে ঘিরে আমি গড়ব সংসার।
সে সংসার হবে সোনায় রাঙা,
চাঁদের কিরণে রাঙা।
সেই স্বপ্নের মাস্তুলে বসে
টেনে যাব দ্বার,
করবো ভালোবাসার উদ্ধার।
তাকে ব্যবহার করিনি অন্য সব
রোডসাইড রোমিওর মত,
ঢেলে দিয়েছি জলের ন্যায়
ভালোবাসা আছে যত।
তবু সে ছেড়ে গেল,
আমায়, আমার সমস্তটাকে,
আমি ভুলতে পারলাম না তাকে।
আমি হাতে তুলে নিলাম সিগারেট,
তাতে মনটা হলো না নিরেট।
তাতে গুঁজে নিলাম গঞ্জিকা,
পাতা উল্টালো পঞ্জিকা।
বাবার পকেট মেরে
'বাবা'র কাছে হাতটা পেতে
নাকটা পেতে,
টানতাম জোরে,
যেন স্মৃতিগুলো ফিরে না আসে ভুল করে।
হেরোইনের আকর্ষণে ঝিম ধরা শিখলাম,
ঝিমোতে ঝিমোতেই কত কাব্য যে লিখলাম।
একদিন এমনই এক রাতে
দেখা হলো তোমারই সাথে।
তুমি এসে আমার হাতটি ধরে বলেছিলে,
"তুমি তো ছিলে না এমন নেশাখোর ছেলে।"
নেশার ঘোরে, ভ্রমে দেখেছি তোমাকে,
তুমি তো আছ সুখে, আমায় কে ডাকে?
আমায় ডাকার মানুষের অভাব নেই,
আমি সিরিঞ্জটা তার থেকে টেনে নিই।
প্রবেশ করাই সেটি কালোশিরায়,
ধীরে ধীরে, খুবই সাবধানে,
যেন আমার বিবেকবোধটাও না জানে।
ভাবছ, এসব টেনে আমি মজা পাই,
মজা পাই না, তবুও এগুলোই চাই।
এসব না নিলে ঘিরে ধরে শূন্যতা
সকলেই তাকে ডাকে 'অস্থিরতা'।
আমি নেই নিজের মাঝে,
নেই কোনো নিয়ন্ত্রণ,
কারো নেই নিমন্ত্রণ।
নিজের অজান্তেই আমি যাই সেগুলোর পানে,
সেসবে শান্তি পাওয়ার নেই কোনো মানে।
ব্লাড ব্যাংকে গিয়েছি আজ,
ভেবেছি, রক্তটা বেচে পাব কিছু টাকা,
তাতে কিনে নিব কিছু ভুলে থাকার সরঞ্জাম।
রক্তে পাওয়া গেল ভাইরাস,
সেই মরণঘাতির,
যেটি পাওয়া গিয়েছিল সমকামীদের শরীরে,
সেই পঁয়ত্রিশটা বছর আগে।
আজ আমারও হলো তা।
আজ আমি লিখি কবিতা।
তাতে নেই তালছন্দ,
তাতে নেই আনন্দ।
আজ আমি বেঁচে আছি,
কাল থাকছি না,
আমার যত বেদনা
মনে রাখছি না।
এক নেশাখোরের গল্প জেনে
কবিতা পড়ে
লাভটা কোথায়?
এটা কবিতা নয়,
অকবিতা।
আমার জীবনটাও
অপজীবন।
আছি এর শেষ অধ্যায়ে।
খড়কুটোর মতই সেটি যাচ্ছে ভেসে,
আর আমিও উঠছি বারেবারে হেসে।
হ্যাঁ, আমি হেরে গেছি,
মাদকের কাছে,
তুমি তো হারোনি
তোমার সুযোগ আছে।
Post a Comment