দুঃখ বাবু, কোথায় আছো? মনের গহীন ঘরে?
কেন শুধু এত বিব্রত করো, এসে ক্ষণে অবসরে?
তুমি থাকো, গহীন জঙ্গলে, আলো যায় না সেথায়,
লিকলিকে হয়ে কাঁদো নিজেনিজে, দুর্ভাবনা মাথায়।
পাটের দড়ি গলায় জড়িয়ে ওপারেতে চাও যেতে?
তটস্থ হয়ে ওঠো তুমি, উত্তেজনায় মেতে।
তোমারই কারণে কত পুরুষ আর কত সুনয়না নারী,
প্রতি দিনশেষে রাত্রি ঘনালে ছাদেতে দেয় পাড়ি।
চোখ দু'টো থাকে আকাশের পানে, কথা বলে মনে মনে,
ভাবটা এমন, আকাশের চাঁদ যেন তাদের দুখ শোনে।
মেঘের পরে মেঘ জমে যায়, চাঁদের উপরে ভাসে,
চাঁদ তার চাঁদমুখ ঢেকে নেয়, মেঘের আড়ালে হাসে।
হাসিটা শুধু সে যুবক-ললনা হাসতে পারে না হায়,
তোমারই, হ্যাঁ তোমারই কারণে তারা এ কষ্ট পায়।
একটা সময়ে তারা ওঠে বসে, নেমে যায় নিচে, ঘরে,
বিছানায় গা এলিয়ে দেয়, মাথা যে এসেছে ধরে।
প্যারাসিটামল খুঁজে ফেরে তারা ড্রয়ারে, খাটের কোণায়,
তাদেরই কানের ফাঁকে ঘুমের বড়িগুলো গান শোনায়।
ঘুমের মাঝে তারা যে দেখে না রঙ মাখা স্বপ্ন,
গভীর ঘুমে যে স্বপ্ন আসে না, সকলেই মগ্ন।
স্বপ্নহীন এক জগতে তারা কাটায় বারটি ঘণ্টা,
ঘুম ভেঙ্গে যায়, রাত্রি পেরোয়, হালকা হয় না মনটা।
দুঃখ বাবু, ও দুঃখ বাবু, শুনতে কি তুমি পাও?
কেন অকারণে সকলের মনে কটু ব্যথা দিতে চাও?
আমরা তো বাবু মানুষ, স্রষ্টারই সেরা জীব,
আমাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আর কেটো নাকো জিভ।
(এত ডাকাডাকির পর দুঃখ বাবুর ঘুম ভেঙ্গে যায়,
সে উঠে বসে, চোখমুখ মুছে, বাসি মুখেই বলে যায়...)
বালক, যুবক, বুড়ো মিয়াঁ, তুমি যে-ই হও না কেন,
আমার বিকাশ, আমার আকার, তোমরাই তো কেনো।
তোমাদের কারো কাছে আমি ছোট, কারো কাছে আমি বড়,
তোমরাই তো পথ চলে গিয়ে আমার হাতটা ধরো।
আমি হাঁটি পথে একলা, সকল দৃষ্টি অগোচরে,
তোমরাই নাও ছিনিয়ে আমার হাতটা, ভীষণ জোরে।
কখনো বা পরদোষে আমায় নাও, কখনও নিজেরই দোষে,
আমার ঘাড়ে দায় চেপে দিয়ে নিজেকেই দাও পিষে।
স্বপ্ন দেখে কেঁদে কেঁদে ওঠো, কালো রাতেরই মাঝারে,
আমায় পুষে আমাকেই তুমি গালি দিতে থাকো হাজারে।
আমার কী দোষ, তুমিই তো সখা আমায় নিয়েছ টেনে,
আমিই দুখী, তোমার অবিচার নিচ্ছি যে খুব মেনে।
হাসছো, কিংবা হচ্ছো অবাক, ভাবছো এসব শুনে,
'দুখেরও কি ফের দুখ আছে নাকি? তারাও কি তারা গুনে?'
কিনছ আমায়, গুনছ তারা, মানছো বাস্তবতা,
তথায় সেটা কথিতই থাক, পুষে নাও সরলতা।
বোকা বোকা চোখে, নিদারুণ দুখে, যত চায় কাঁদো তত,
আমায় ধরে দুখী করো নাকো তোমারই মনেরই মত।
আমারও হয়ত কত সাধ আর স্বপন থাকতেই পারে,
আমার মনও তো কত যে আশার ছবি আঁকতেই পারে।
শলা থাকলো, পথ চলা মুহূর্তেরই জটিল সময়ে,
আমার হাতটা ধরো না কখনও, হেঁটো তুমি ধীর লয়ে।
আমাকে নিয়ে তো সুখী হও না, তবুও কেন নাও?
প্রতি দিনশেষে রাতেরই আঁধারে কেঁদে কি মজা পাও?!
এর চেয়ে তুমি পথ চলে যাও, লাগুক যত কাঁটা,
জখম হবে, রক্ত ঝরবে, থামবে নাকো হাঁটা।
আমাকে ডাকলে 'দুঃখ বাবু', খোঁটা দিলে বোধকরি,
দুঃখ পেলাম, তবুও হাসলাম, ধৈর্য্যটা শুধু ধরি।
আমার থেকে দীক্ষা নাও হে, ডেকো নাকো বাঁকা নামে,
হতাশায় সবে লোপ পেয়ে যায়, টিকে নাকো ধরাধামে।
মুঠো ভরে তুমি সঞ্চয় করো আশার বীজ যত,
শ্রম দিয়ে, ওই ঘাম দিয়ে তুমি সাজো নিজেরই মত।
আমি যাই, তুমি দয়া করে শিথিল করো এ বাঁধন,
আশা, স্বপ্ন দু'টোর যেন হয় সেরা সমন্বয় সাধন।
(অতঃপর, তাকে খুলে দেয়া হলো, পালাল হরিণী বেগে,
আশার প্রদীপ জ্বলছে দু'চোখে জল এলো আবেগে।)
কেন শুধু এত বিব্রত করো, এসে ক্ষণে অবসরে?
তুমি থাকো, গহীন জঙ্গলে, আলো যায় না সেথায়,
লিকলিকে হয়ে কাঁদো নিজেনিজে, দুর্ভাবনা মাথায়।
পাটের দড়ি গলায় জড়িয়ে ওপারেতে চাও যেতে?
তটস্থ হয়ে ওঠো তুমি, উত্তেজনায় মেতে।
তোমারই কারণে কত পুরুষ আর কত সুনয়না নারী,
প্রতি দিনশেষে রাত্রি ঘনালে ছাদেতে দেয় পাড়ি।
চোখ দু'টো থাকে আকাশের পানে, কথা বলে মনে মনে,
ভাবটা এমন, আকাশের চাঁদ যেন তাদের দুখ শোনে।
মেঘের পরে মেঘ জমে যায়, চাঁদের উপরে ভাসে,
চাঁদ তার চাঁদমুখ ঢেকে নেয়, মেঘের আড়ালে হাসে।
হাসিটা শুধু সে যুবক-ললনা হাসতে পারে না হায়,
তোমারই, হ্যাঁ তোমারই কারণে তারা এ কষ্ট পায়।
একটা সময়ে তারা ওঠে বসে, নেমে যায় নিচে, ঘরে,
বিছানায় গা এলিয়ে দেয়, মাথা যে এসেছে ধরে।
প্যারাসিটামল খুঁজে ফেরে তারা ড্রয়ারে, খাটের কোণায়,
তাদেরই কানের ফাঁকে ঘুমের বড়িগুলো গান শোনায়।
ঘুমের মাঝে তারা যে দেখে না রঙ মাখা স্বপ্ন,
গভীর ঘুমে যে স্বপ্ন আসে না, সকলেই মগ্ন।
স্বপ্নহীন এক জগতে তারা কাটায় বারটি ঘণ্টা,
ঘুম ভেঙ্গে যায়, রাত্রি পেরোয়, হালকা হয় না মনটা।
দুঃখ বাবু, ও দুঃখ বাবু, শুনতে কি তুমি পাও?
কেন অকারণে সকলের মনে কটু ব্যথা দিতে চাও?
আমরা তো বাবু মানুষ, স্রষ্টারই সেরা জীব,
আমাদের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে আর কেটো নাকো জিভ।
(এত ডাকাডাকির পর দুঃখ বাবুর ঘুম ভেঙ্গে যায়,
সে উঠে বসে, চোখমুখ মুছে, বাসি মুখেই বলে যায়...)
বালক, যুবক, বুড়ো মিয়াঁ, তুমি যে-ই হও না কেন,
আমার বিকাশ, আমার আকার, তোমরাই তো কেনো।
তোমাদের কারো কাছে আমি ছোট, কারো কাছে আমি বড়,
তোমরাই তো পথ চলে গিয়ে আমার হাতটা ধরো।
আমি হাঁটি পথে একলা, সকল দৃষ্টি অগোচরে,
তোমরাই নাও ছিনিয়ে আমার হাতটা, ভীষণ জোরে।
কখনো বা পরদোষে আমায় নাও, কখনও নিজেরই দোষে,
আমার ঘাড়ে দায় চেপে দিয়ে নিজেকেই দাও পিষে।
স্বপ্ন দেখে কেঁদে কেঁদে ওঠো, কালো রাতেরই মাঝারে,
আমায় পুষে আমাকেই তুমি গালি দিতে থাকো হাজারে।
আমার কী দোষ, তুমিই তো সখা আমায় নিয়েছ টেনে,
আমিই দুখী, তোমার অবিচার নিচ্ছি যে খুব মেনে।
হাসছো, কিংবা হচ্ছো অবাক, ভাবছো এসব শুনে,
'দুখেরও কি ফের দুখ আছে নাকি? তারাও কি তারা গুনে?'
কিনছ আমায়, গুনছ তারা, মানছো বাস্তবতা,
তথায় সেটা কথিতই থাক, পুষে নাও সরলতা।
বোকা বোকা চোখে, নিদারুণ দুখে, যত চায় কাঁদো তত,
আমায় ধরে দুখী করো নাকো তোমারই মনেরই মত।
আমারও হয়ত কত সাধ আর স্বপন থাকতেই পারে,
আমার মনও তো কত যে আশার ছবি আঁকতেই পারে।
শলা থাকলো, পথ চলা মুহূর্তেরই জটিল সময়ে,
আমার হাতটা ধরো না কখনও, হেঁটো তুমি ধীর লয়ে।
আমাকে নিয়ে তো সুখী হও না, তবুও কেন নাও?
প্রতি দিনশেষে রাতেরই আঁধারে কেঁদে কি মজা পাও?!
এর চেয়ে তুমি পথ চলে যাও, লাগুক যত কাঁটা,
জখম হবে, রক্ত ঝরবে, থামবে নাকো হাঁটা।
আমাকে ডাকলে 'দুঃখ বাবু', খোঁটা দিলে বোধকরি,
দুঃখ পেলাম, তবুও হাসলাম, ধৈর্য্যটা শুধু ধরি।
আমার থেকে দীক্ষা নাও হে, ডেকো নাকো বাঁকা নামে,
হতাশায় সবে লোপ পেয়ে যায়, টিকে নাকো ধরাধামে।
মুঠো ভরে তুমি সঞ্চয় করো আশার বীজ যত,
শ্রম দিয়ে, ওই ঘাম দিয়ে তুমি সাজো নিজেরই মত।
আমি যাই, তুমি দয়া করে শিথিল করো এ বাঁধন,
আশা, স্বপ্ন দু'টোর যেন হয় সেরা সমন্বয় সাধন।
(অতঃপর, তাকে খুলে দেয়া হলো, পালাল হরিণী বেগে,
আশার প্রদীপ জ্বলছে দু'চোখে জল এলো আবেগে।)
Post a Comment