আজো, এখনও কেটে যায় বেলা,
বিশ্ব দৃঢ়তা করে শুধু খেলা,
মুঠো ভরে শুধু স্বপ্নগুলো
দেখে যাই, করে শত অবহেলা।

পেছন ফিরি না, সামনে দেখি না,
পুরাতন দিন নতুনে আনি না,
বালিশের প্রতি স্তরে মাথা রেখে
জাবর কাটি পুরনো যাতনা।

না, না, না, আর চলবে না,
এভাবে এসব কখনও চলে না,
সীমার মাঝেই রেখা যত টেনে
করে যাই তার ব্যর্থ রচনা।

তুলির আঁচড় পড়ার আগেই
তুলির রঙ গেল শুকিয়ে,
আমার যত পাগলা রাগেই
বিষণ্ণতা দেই বিকিয়ে।

কেন শুধু এত দূরে দূরে থাকি,
কেন অভিমান মনে পুষে রাখি,
আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে আজো যে
কেন শুধু ভাসাই এই পাপী আঁখি?!

আছে, প্রতিটিরই কারণ আছে
আছে, সবই আছে, সব আশেপাশে,
কার্যকারণ ছাড়া এই আমি
পথ চলি না, সবে শুধু হাসে।

হাসুক, হাসতে দেই তাদের
হাসলে হৃদয় ভালো থাকে,
হাসিতেই যত স্বপ্ন, আঁধারে
নিজেকে লুকিয়ে হতাশাই আঁকে।

প্রিয়জন শুধায়, "এই তুমি কেন
নিজেকে অতটা আড়ালে রাখো?
কেন তুমি সকলেরই পাশ কেটে
নিজেকে এতটা লুকিয়ে রাখো!"

যে শুধায়, সেও জানে
সেও ভেসে যায় বিচক্ষণ জ্ঞানে,
শুধু শেষে এই মুখটা থেকে
উত্তরখানা সেই টেনে আনে।

শৈশবে খুব কম বলতাম,
বাবা-মা, সকলে ডাকত 'বোবা',
আবারও আমি কম কম বলে,
আড়াল করবো তাদেরই থাবা।

তুমি, হে পাঠক কিংবা পাঠিকা
আমার ব্যথাটা যদি জানো
আমার গল্পে, কাব্যে, রচনায়
আমাকেই তুমি পাবে, জেনো।

তুমি পিছে যাও, আমিও পিছনে
ফারাক হবে আমাতে, দুজনের,
কোন দিন শেষে, বিজয়ের বেশে
সতেজ হবে পাতা সবুজ সজনের।

Post a Comment

Previous Post Next Post