বৈশাখেরই বিকেলবেলায় জোর গতিতে বৃষ্টি নামে,
বৃষ্টি দেখে, মেঘটা মেখে, অক্ষিপটের বৃষ্টি থামে।
কাল ছিল মন আনন্দমাখা, আজ তা বিষাদে হয়েছে কালো,
যা-ই ঘটে, আর যা-ই রটে, সব আদিখ্যেতার দিন ফুরালো।

টিনের চালের নিচে বসে, চেয়ারটুকু নিয়ে টেনে,
বৃষ্টির গতিবেগেরই সাথে ঘটনাপ্রবাহ নিই যে মেনে।
হাতে থাকে এক কাপ গরম লাল লিকারের রঙমাখা চা,
স্মৃতির উপস্থিতি মুঠো করে বানাই আমি মনের মাচা।

একা একা লাগে, খুব সাধ জাগে, ব্যথাগুলো যেন সবে বুঝে,
ব্যথার যোগ্য ভাগীদার পেতে মন ও চোখ যেন সঙ্গী খোঁজে।
পাই না মানুষ, পাই না বস্তু, যে বুঝে নিবে মনের ব্যথা,
কল্পনা থেকে বাস্তবে নামি, বাধ্য হয়েই খাটাই মাথা।

আকাশের পানে চেয়ে থাকি, উফ, কেমন নিকষ কালো মেঘগুলো,
বিষাদের রঙ কালো, ফুঁ দিয়ে উড়াই মনের কোণের ধুলো।
আকাশের আরো উপরে আরো সাতটি স্তরের জটিলতা শেষে,
স্রষ্টা আছেন আমার পানে চেয়ে, আমি ফিরি অবশেষে।

স্রষ্টাকে বলি, "তুমিই তো খুব আছ কাছে এই আমার নিকটে।
আমাকে তুমি করো উদ্ধার, থাকো পাশে এই মনোসঙ্কটে।"
স্রষ্টা হাসেন বোধকরি, তবে সান্ত্বনা দিয়ে জানান তিনি,
আমার পাশেই আজন্ম আর আমৃত্যু রয়েছেন তিনি।

আমি পাই সুখ, স্বস্তিমাখানো নিঃশ্বাস ফেলে ওঠি দু'পায়ে,
ফিরি ওই চেনা জগতটাতে, যেটি ভরা যত ন্যায়-অন্যায়ে। 

Post a Comment

Previous Post Next Post